November 23, 2024, 2:22 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
নতুন হিসেব এসে মিলেছে এখন মোংলা বন্দরে। পণ্য পরিবহনে সহজ সূত্র কার্যকর হতে যাচ্ছে এখানে। ব্যবসায়ীরা বলছেন পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এ বন্দর থেকে ঢাকায় পণ্য পরিবহনে সময় লাগবে ৩ ঘণ্টা। যেখানে আগে লাগতো ৮-৯ ঘণ্টা। এতে করে ৬ ঘণ্টা সময় বাঁচবে। অন্যদিকে মোংলা বন্দর থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য পরিবহনে সময় লাগত ১৪ ঘণ্টা। সেতুর কারণে তা কমে ৭-৮ ঘণ্টা। এখানেও সময় বাঁচবে ৬ ঘণ্টা। সব মিলিয়ে ব্যবসায়ীদের সময় সাশ্রয়ী হবে ১২ ঘণ্টা।
খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস বলেন, অহেতুক সময় নষ্ট হওয়ায় ব্যবসায় বড় ধরণের সমস্যা হয়। পণ্য নিয়ে ঢাকা বা চট্টগ্রামে গেলে পদ্মার ফেরিতে আটকে থাকতো হতো কয়েক ঘণ্টা। এতে একদিকে যেমন সময়, অর্থ ও পণ্য নষ্ট হতো, অন্যদিকে ভোগান্তিতে পড়তে হতো তাদের।
মোংলা বন্দর বার্থ-শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন বলেন, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল ও রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ দেশে মেগা প্রকল্প নির্মাণের মালামাল এ বন্দরের মাধ্যমে আমদানি হয়। আমরা আমদানি হওয়া পণ্য খালাস করে নদী ও সড়ক পথে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে পৌঁছে দিচ্ছি। মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকত। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এ সমস্যায় পড়তে হবেনা।
এ প্রসঙ্গে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর এ বন্দরের গতিশীলতা আরও বাড়বে। একই সঙ্গে সড়ক পথে কম সময়ে দ্রুত পণ্যবাহী কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডেলিং করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সংগঠন (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকিএমইএ) মোংলা বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মাহাবুব আহম্মেদ সিদ্দিক বলেন, সেতু চালু হওয়ার পর ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। এখানকার বিনিয়োগকারীদের পণ্য আগে জাহাজে করে যেতো। এখন সড়ক পথে আসবে। সেতুটি চালু হলেই এ ইপিজেডে বিনিয়োগকারীও বাড়বে। বিনিয়োগকারীদের চাহিদানুযায়ী সেবা দিতে নতুন আরও ৬২টি প্লট প্রস্তুত করা হচ্ছে।
Leave a Reply